Header Ads

Header ADS

হাতিমুড়া সিঁড়ি বা স্বর্গের সিঁড়ি

হাতিমুড়া সিঁড়ি। স্বর্গের সিঁড়ি। 
হয়ত প্রায় মানুষই জানে না, যায়গাটা কোথায় এবং কীভাবে যেতে হয়!
.
খাড়া উঁচু পাহাড়ের সামনের দিকটা, হাতির মাথার মত দেখতে হওয়ায়, স্থানীয়রা অধিবাসীরা এটাকে হাতিমাথা এবং হাতিমুড়া বলে ডাকে। স্বর্গের সিঁড়ি মর্ত্যভূমি পেরিয়েই উঠে গেছে সোজা উপর দিকে। পাহাড় আর জঙ্গলের ফাঁকফুঁকে চলা, এই সিঁড়ির শেষ দেখা যায় না।
.
উপরেতে যেনো স্বর্গে গিয়েই শেষ হয়েছে সিঁড়িটা। আনুমানিক ১১০ডিগ্রী এ্যাঙ্গেলের খাড়া ৩০০সিঁড়ি বেয়ে হাতি মাথায় উঠতে হবে। হিম শীতল বাতাসে সিঁড়ি বেয়ে যখন, পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে থাকবেন তখন নৈসর্গিক সৌন্দর্যতে চোখ ধাঁধা লেগে যাবে। চতুর্দিকে কেবল সবুজ আর সবুজ।
.
খাগড়াছড়ি শহর হতে, যে কোনো টমটমকে বলুন পানছড়ি রোডের জামতলি যাবো। ভাড়া জনপ্রতি ১০/৳ নিবে। পানছড়ি রোডে, অল্পকিছু দূরে যেয়ে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়াম পার হয়ে জামতলির যাত্রী ছাউনির সামনে নেমে বাম দিকে রাস্তা পাবেন।
.
১০মিনিট হেঁটে, সামনে একটি নদী পাবেন। চেঙ্গি নদী। নদী পাড় হয়ে সামনে পাবেন একটি পাড়া। পাড়াতে ঢুকতেই খাল পার হওয়ার জন্য জনপ্রতি ৫/৳ দিতে হবে। সিঁড়িতে যাওয়ার আগে এখানেই শেষ কিছু দোকান পাবেন। তাই কিছু কিনতে হলে এখান থেকেই নিয়ে নিন।
.
চাইলে এ বাজার হতে দোকানে কথা বলে, দরদাম করে একজন গাইড নিয়ে নিতে পারবেন, ঝামেলা এবং সময় বাঁচাতে। গাইড নিয়ে যাওটাই সবচেয়ে বেটার কেননা সামনে কয়েকবারই ২টা করে রাস্তা পড়বে। এই সিঁড়িতে যাওয়ারও অনেকগুলা বিকল্প রাস্তা আছে।
.
সবশেষে, সৌন্দর্য্য অবলোকনের অধিকার সবার। কিন্তু নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। যাত্রার পথে কোন রকমের আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন কিবা সঙ্গে একটি ব্যাগ রাখতে পারেন। যাতে করে আবর্জনা ফেরৎ আনুন। হ্যাপি ট্রাভেলিং। 
  😍

লেখা- নাবিলা খানম।

No comments

Powered by Blogger.