চাকরিজীবী বিড়াল নাম এলউড
চাকরিজীবী বিড়াল। নাম এলউড। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অ্যাপওর্থ হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী। সময় মতো অফিসে আসে। নিয়ম মেনে দায়িত্ব পালন করে। এজন্য হাসপাতালের সবাই খুশি। তাকে বেতনও দেওয়া হয়।
--
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, বছর তিনেক হল বিড়ালটি হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করে এবং এক বছর ধরে সে নিয়ম মেনে চলাফেরা করে। সব সময় হাসিখুশি থাকে। ভালো মানুষেরা ডাকলে কাছে যায়, আর খারাপ মানুষ কিংবা যিনি নিয়ম না মেনে হাসপাতালে ঢোকে, তাকে দেখলে তাড়া করে এবং তাকে হাসপাতাল-ছাড়া করেই সে ক্ষ্যান্ত হয়।
--
বিড়ালটি নিরাপত্তা কর্মীদের মতো হাসপাতালের সর্বত্র ঘোরাফেরা করে। রিসিপশন, ওয়েটিংরুম, ডক্টর্স-নার্সদের রুম এবং রোগীদের ওয়ার্ড বা কেবিনেও তার অবাধ যাতায়াত। অসুস্থ রোগীরা তাকে দেখলে স্বস্তি পান। ওষুধের তিক্ততা কিংবা ইনজেকশনের যন্ত্রণা ভুলে যান। তাই বিড়ালটিকে সবাই আদর করে নাম দিয়েছেন এলউড। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রীতিমতো মিটিং করে তাকে নিয়োগপত্র দিয়েছেন। গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছেন পরিচয়পত্র।
--
সকালে নিউজটা দেখে মনটা ভরে গেল অন্য রকম আনন্দে। উন্নত দেশে বিড়াল, কুকুরদের কত না কদর, কতনা মূল্যায়ন। অথচ আমাদের দেশে মানুষের চাকরি খাওয়া নিয়েই চলে অশুভ প্রতিযোগিতা! ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর শত শত কোটি টাকা লাভ করেন। শ্রম আইন অনুযায়ী লাভের ৫ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেন না। অথচ কোনো বছর সামান্য লস হলেই দেদারসে ছাঁটাই করেন! এসব দেখারও কেউ নেই! হায়রে অভাগা স্বদেশ!
--------------------------------------------------------
তথ্য : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি।
ছবি : গুগল থেকে সংগৃহীত...
(ইনফরমেশন সংগৃহীত
No comments