Header Ads

Header ADS

মনুমিয়ার বাড়ি

 মনুমিয়ার বাড়ি

 

মনুমিয়ার খোলামেলা পরিপাটি এই বাড়িটি আপনার মনকে প্রশান্তিতে ভরিয়ে তুলবে।আহমদুল কবির মনু মিয়া ছিলেন ঘোড়াশালের জমিদার আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির (ডাক নাম ফেনু মিয়া) এর ছেলে।
এই বাড়িটি মনু মিয়ার বাড়ি হিসেবে সবাই চিনলেও আসলে এটির প্রকৃত নাম ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ি,এবং এই ঘোড়াশাল জমিদার বাড়িতে মোট ৩ টি জমিদার বাড়ি আছে।
১।মৌলভি আবদুল কবিরের বাড়ি।
২।নাজমুল হাসানের বাড়ি।
৩।মনু মিয়ার বাড়ি।

ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ি সকলের অগোচরে মনু মিয়ার জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। অপরিচিতদের জন্য ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ির চেয়ে মনু মিয়ার জমিদার বাড়ি নামে খুঁজে পাওয়াটা অপেক্ষাকৃত সহজ। স্থানীয়রা এনামেই ভালো চেনেন। গুগল ম্যাপে ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ি- মিয়া পাড়া রোডে, মনু মিয়ার জমিদার বাড়ি নামে দেখায়।
মনুমিয়ার এই বাড়িটি দেখে আর্কিটেক্ট নাজমুল ভাট স্বপ্ন ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেল।বাড়ির পরিবেশ যদি খোলামেলা না হয়,বাতাস যদি ঘরের ভিতরে না প্রবেশ করে,মানুষের দৃষ্টি যদি বাড়িতে না আটকায় তাহলে সেটা ডিজাইন হয় কিভাবে।খোলামেলা আর গাছ-গাছালিই মনুমিয়ার জমিদার বাড়ির অন্যতম বৈশিষ্ঠ।ভেতরের পরিবেশ দেখলেই বোঝা যাই যে বাড়ির মাকিল কতটা রুচিশীল এবং আরাম আয়েশ প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন।প্রায় দশ একর জাইগা জুড়ে এই জমিদার বাড়ির বাইরে থেকে বোঝার কোন উপায় নায় ভেতরে যে কি অপরূপ সৌন্দর্য অপেক্ষা করে আছে।ভেতরে ঢুকতেই বাম পাশের মসজিদটির দিকে সর্ব প্রথম নজর পড়বে।প্রতিটি বাড়িই অসাধারণ কারুকাজ আর সাদা রঙে রাঙায়িত।সেই সাথে সবুজ ঘাস এবং গাছ পালার বিস্তৃতি এক অপরূপ সৌন্দর্যে রুপ দেয়।ভেতরে রয়েছে আলিসান ভাবে শান বাধানো দুইটি পুকুর।রহেছে অসংখ্য ল্যাম্প পোস্ট।রহেছে বহু ফুলের গাছ এবং ৪ প্রকার কাঠ গোলাপ ফুলের গাছ।কোন ভাবেই বোঝার উপায় নায় যে এটির বয়স হয়েছে।


যাতায়াত মাধ্যমঃ
১।ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে #উত্তরা_পিপিএ_ বাদশা,এবং আরো কিছু বাস টুংগি আব্দুল্লাহপুর হয়ে ঘোড়াশাল হয়ে নরসিংদী যাই।আপনারা ঘোড়াশাল নেমে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দেবে।(ভাড়া ৭০-৮০)টাঁকা।
২।ট্রেন ব্যবস্থাঃকমলাপু রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে সকাল ৮.৩০ মিনিটে কর্নফুলি ট্রেন ছেড়ে যায়।আপনারা ঐ ট্রেনে উঠে চলে যান।ঘোড়াশাল নামবেন ২০-২৫ টাঁকা ভাড়া নিবে আমরা এয়ারপোর্ট থেকে গিয়েছিলাম ২০ টাঁকা ভাড়া নিয়েছিল।নেমে যে কাউরেই জিজ্ঞাসা করবেন দেখিয়ে দিবে।এবং আসার সময় বাসে করে চলে আসবেন কারন আসার ট্রেন সন্ধ্যায় ঘোড়াশালে আসে।(আমি বলবো গেলে ট্রেনেই যাবেন কোন ঝামেলা না,একেবারেই রিলাক্স সিট পাবেন কনফার্ম।ছুটির দিন ব্যাতিত)
খাবার দাবারঃভালোমত কোন খাবার হোটেল/রেস্টুরেন্ট চোখে পড়ে নায়,তবুও খেয়ে নিতে পারবেন।
ঝামেলাঃআপনারা দুই নম্বার এবং ৩ নং বাড়িটা দেখতে তেমন কোন সমস্যায় পড়বেন না, তবে গিয়ে প্রবেশের এবং ছবি তোলার অনুমতি নিয়ে নিবেন।আর ১ নং বাড়িটা ভাগ্য ভালো থাকলে দেখতে পারবেন না থাকলে পারবেন না।গেটে দারোয়ান থাকে আবার থাকে না এমন।উনি সব সময় ভিতরে থাকে।আমার ২৫ মিনিট মত অপেক্ষা করা লাগছিল।


সতর্কতাঃ
১.এটা কোন টুরিস্ট স্পর্ট না তাই,দলবল নিয়ে না গিয়ে ২/৩ জন মিলে যান সব দিক থেকে সুবিধা আর ঘোরাফেরাও ভালো লাগবে,দলবল নিয়ে গেলে ঢুকতে নাও দিতে পারে।
২....#ভ্রমনে আপনার দ্বারা সৃষ্ঠ ময়লা আবর্জনা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত সম্পদ,তাই অন্যকে প্রদর্শনের জন্য যেখানে সেখানে না ফেলে নিদির্ষ্ট স্থানে ফেলুন।
ঘুরে আসতে না পারলে অগ্রিম মন ভরাতে চাইলে এই লিংকের ছবিগুলো দেখে আসতে পারেন.



© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

No comments

Powered by Blogger.